অ্যাপলের ‘কি’ ছাড়া কিবোর্ড!
কাজের সুবিধার জন্য অ্যাপল কম্পিউটারের ম্যাকবুক ল্যাপটপগুলোর টাচপ্যাড এমনিতেই বেশ বড়। তবে যদি পুরো কিবোর্ড সরিয়ে বড় আকারের টাচ প্যাড বসিয়ে দেওয়া হয় তবে কেমন হবে? সে চিন্তা নিশ্চয় অ্যাপল করে রেখেছে, না হলে গত বছরেই
এই নকশা নিয়ে কাজ শুরু করত না তারা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বোতাম ছাড়া এমনই এক কিবোর্ডের নকশা পেটেন্ট করার আবেদন জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এত দিন গোপন রাখলেও বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ করে অ্যাপল। আর তাই ধরে নেওয়া যায়, শুধু নকশা না, বাস্তবেই দেখা যাবে নতুন ধারণার এই কিবোর্ড।
পেটেন্টের আবেদনে লেখা ছিল, ‘ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহারের জন্য বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করে এমন এক ইনপুট যন্ত্র যা পরিবর্তনযোগ্য, পরিষ্কার সমতল পৃষ্ঠ যেখানে চাপ দিলে প্রতিক্রিয়া জানায়।’ ভাষাটা কাঠখোট্টা হলেও অ্যাপলের উদ্দেশ্য অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে তাতে। প্রথমত, বোতামের পরিবর্তে থাকবে সমতল পৃষ্ঠ, যেটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কাজ করা যাবে। সেখানে কোনো নির্দিষ্ট লেখা না থাকায় নিজের সুবিধামতো ঠিক করে নেওয়া যাবে কোথায় কী থাকবে। মনে করুন, আপনি নিউমেরিক কি-প্যাড ব্যবহারে অভ্যস্ত। চাইলেই এই কিবোর্ড নতুন করে কনফিগার করে নিউমেরিক কি-প্যাড যোগ করে নিতে পারবেন। একইভাবে বারবার ব্যবহার করতে হয় এমন বিশেষ সব চিহ্ন যোগ করে নেওয়া সম্ভব, ব্যবহারের সুবিধার্থে হাতের কাছেও আরেক টাচ-প্যাড বসানোও সম্ভব। এককথায় নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যাবে।তবে প্রশ্ন হলো, ব্যবহারকারী কীভাবে বুঝবে কোন বোতাম কোথায় আছে? কিবোর্ড সমতল পৃষ্ঠ হলেও পুরো প্যানেলজুড়ে অসংখ্য খুদে ছিদ্র থাকবে। প্যানেলের নিচের আলো দিয়ে লেখাগুলো তাই ওপর থেকেই বোঝা যাবে। আরেকটা সুবিধা হলো এতে ময়লা ঢুকবে না। ফলে সহজে কম্পিউটার নষ্ট হবে না।
নকশা থেকে বাস্তবের যন্ত্রে পৌঁছানো অবশ্য এখনো অনেক বাকি। সব নকশা বাস্তব রূপ দিতেই হবে এমন কোনো প্রতিজ্ঞা অ্যাপল কখনো করেনি। তবে এই ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপল কিন্তু কিবোর্ডের আরেক নকশা পেটেন্টের আবেদন করেছিল। সেখানে বোতাম তো দূরের কথা, স্পর্শও করতে হবে না। শুধু আঙুল কাছে নিয়ে গেলেই হলো। এবার ভাবুন, অ্যাপল যদি এই দুই ধারণা এক করে কোনো কিবোর্ড বানায় তবে তা কেমন হবে?
এই নকশা নিয়ে কাজ শুরু করত না তারা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বোতাম ছাড়া এমনই এক কিবোর্ডের নকশা পেটেন্ট করার আবেদন জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এত দিন গোপন রাখলেও বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ করে অ্যাপল। আর তাই ধরে নেওয়া যায়, শুধু নকশা না, বাস্তবেই দেখা যাবে নতুন ধারণার এই কিবোর্ড।
পেটেন্টের আবেদনে লেখা ছিল, ‘ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহারের জন্য বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করে এমন এক ইনপুট যন্ত্র যা পরিবর্তনযোগ্য, পরিষ্কার সমতল পৃষ্ঠ যেখানে চাপ দিলে প্রতিক্রিয়া জানায়।’ ভাষাটা কাঠখোট্টা হলেও অ্যাপলের উদ্দেশ্য অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে তাতে। প্রথমত, বোতামের পরিবর্তে থাকবে সমতল পৃষ্ঠ, যেটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কাজ করা যাবে। সেখানে কোনো নির্দিষ্ট লেখা না থাকায় নিজের সুবিধামতো ঠিক করে নেওয়া যাবে কোথায় কী থাকবে। মনে করুন, আপনি নিউমেরিক কি-প্যাড ব্যবহারে অভ্যস্ত। চাইলেই এই কিবোর্ড নতুন করে কনফিগার করে নিউমেরিক কি-প্যাড যোগ করে নিতে পারবেন। একইভাবে বারবার ব্যবহার করতে হয় এমন বিশেষ সব চিহ্ন যোগ করে নেওয়া সম্ভব, ব্যবহারের সুবিধার্থে হাতের কাছেও আরেক টাচ-প্যাড বসানোও সম্ভব। এককথায় নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যাবে।তবে প্রশ্ন হলো, ব্যবহারকারী কীভাবে বুঝবে কোন বোতাম কোথায় আছে? কিবোর্ড সমতল পৃষ্ঠ হলেও পুরো প্যানেলজুড়ে অসংখ্য খুদে ছিদ্র থাকবে। প্যানেলের নিচের আলো দিয়ে লেখাগুলো তাই ওপর থেকেই বোঝা যাবে। আরেকটা সুবিধা হলো এতে ময়লা ঢুকবে না। ফলে সহজে কম্পিউটার নষ্ট হবে না।
নকশা থেকে বাস্তবের যন্ত্রে পৌঁছানো অবশ্য এখনো অনেক বাকি। সব নকশা বাস্তব রূপ দিতেই হবে এমন কোনো প্রতিজ্ঞা অ্যাপল কখনো করেনি। তবে এই ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপল কিন্তু কিবোর্ডের আরেক নকশা পেটেন্টের আবেদন করেছিল। সেখানে বোতাম তো দূরের কথা, স্পর্শও করতে হবে না। শুধু আঙুল কাছে নিয়ে গেলেই হলো। এবার ভাবুন, অ্যাপল যদি এই দুই ধারণা এক করে কোনো কিবোর্ড বানায় তবে তা কেমন হবে?
No comments