অদৃশ্য হয়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হতে পারে আমাদের !
বিজ্ঞানীদের ঘোষণা মতে খুব শীঘ্রই তারা এমন এক ধরনের যন্ত্র তৈরী করতে যাচ্ছে যা আলো, শব্দ, জল এমনকি ভূমিকম্প থেকেও মানুষকে লুকাতে পারবে। কিছুটা পিছনে ফিরে তাকালে–জানা যায় ২০০৬ সালের দিকেও প্রকৌশল বিশ্বের তর্জন–গর্জনের কেন্দ্রে ছিল হ্যারি পর্টার । সে বছরই ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়য়ে
অদৃশ্যকারী একটি সম্পূর্ণ- স্যুট বর্তমানে তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । যখন আমরা কোন বস্তুকে অনুভব করি তখন আসলে ওই বস্তু হতে নির্গত- শক্তি তরঙ্গকেই সনাক্ত করি। যদি কোনভাবে আমার দিকে আসা ওই তরঙ্গকে বাঁকিয়ে দেওয়া যায় কিংবা শোষণ করে নেওয়া যায় তাহলে আমি নিশ্চিতভাবে ওই বস্তুকে ফাঁকি দিতে পারব। ডিউক স্যুট-টীও অনেকটা এই ধরনের ক্রিয়া কৌশলের দ্বারা মানুষকে অদৃশ্য করে বেড়াবে। ঠিক যেমন করে একটা পাথর যদি কোন প্রবাহী- নদী কিংবা জলধারার মাঝে রাখা হয় তাহলে দেখা যাবে ওই অঞ্চল দিয়ে আর পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে যে কিভাবে কোন মানুষের দিকে আসা আলোক তরঙ্গকে বাঁকিয়ে দিয়ে এই ডিউক স্যুট- মানুষকে অদৃশ্য করবে ।
তবে দিন যতই যাচ্ছে এই প্রক্রিয়া আরও উন্নততর হচ্ছে। শুধু আলোক তরঙ্গের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকছে না অদৃশ্যকারী আলকেল্লা, শব্দ তরঙ্গকেও যেন শোষণ করে ফেলতে পারে এই উপায়ও খুঁজা হচ্ছে এবং একই সাথে কিভাবে ভূমিকম্প প্রতিরোধে একে ব্যবহার উপযোগী করা যায় তাও গুরুত্ব সহকারে ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে – তবে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি মনযোগ দিচ্ছেন সামরিক কাজে ও গোয়েন্দা নজরদারি উপযোগী অদৃশ্যকারী স্যুট- তৈরির দিকে।
No comments