বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমটাকে বহিঃবিশ্বের সামনে তুলে ধরে

 বাংলাদেশ টীমটা ও তখনো ম্যাশের নেতৃত্বে ২০১৫'র বিশ্বকাপে টোটাল ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়া দেয়নি।
সৌম্য তখনো ওপেনার হিসেবে অভিষিক্ত হয়ে গর্জন করেনি,
তবে দলের মধ্যে কিছু একটা নতুনত্ব,
হারার আগেই হাইরা না যাওয়া,
ভাইঙ্গে দেবার প্রয়াস খেয়াল করেছিলাম এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে!
স্মৃতি ধোকা না দিলে পরপর দুই তিনটা সিরিজে ফ্রী স্টাইলে হাত খুলে খেলতে দেখে অবাক লাগছিলো!
মোঃ আশরাফুলের পরে ওর ব্যাটে একদম সাববলীলতা দেখে আমার অতি আবেগী মন ভিতরে ভিতরে কেমন যেনো ' আমরা পাল্টে যাবো যাবো টাইপস অনুভূতি হচ্ছিলো '।
তবে সত্যি বলতে আমি বিজয় কে দেখখে হতাশ হয়েছিলাম প্রথমে, কি লিকলিকে একটা ছেলে,
এ আর কি করবে?
সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদের যোগ্যতা তখন সবারই জানা, তবে ওরা মেলে ধরতে পারেনা, পারফর্মেন্সে নেই কোন ধারাবাহিকতা।
ওপেনার হিসেবে তামিম তখন আগে থেকেই ভয়ে পেয়ে পেয়ে নিজেকে হারিয়েই ফেলতে বসেছে।
ঠিক ওইরকম সময় আনামুল হক বিজয় হুট করে ১০০, ৫০, ৮০, ৯০ রানের কতগুলো সাবলীল আর ঝড়ো ইনিংস খেলে আসতে লাগলো ওপেনে গিয়ে, ফলশ্রুতিতে মুশিশি, সাকিব, রিয়াদেরা সতীর্থের ড্যাম কেয়ারিং ব্যাট দেখে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইইলো, যার ফল হিসেবে সেবার আমরা কাদের যেনো হোয়াইট ওয়াশ টাইপসের কিছু দিলাম, বড় দলের সাথে ও ম্যাচ জিতলাম!
আনামুল বিজয়ের ওই রান গুলো প্রমান করেনা ও জিনিয়াস, তবে ওর ব্যাটিং স্টাইল দেখে আমার মনে হয়েছিলো, বিজয় মাঠ থেকে উঠে আসা...
যো কোন খেলাতেই খেলোয়ারের দুইটা প্রকার থাকে,
প্রথমত) মাশরাফী, মুস্তাফীজ কিংবা মেসির মতন শিশুবস্থার মাঠ পাগলা গুলো, এবং,
দ্বিতীয়ত) বাবা মা জোর করে ধরে আবাহনী, কলাবাগান, বি কে এস পি কিংবা স্পেইনের লামাসিয়ায় প্রাক্টিসে পাঠালে সেখান থেকে কপি করে করে যার ব্যাটে বলে ঠিক ঠাক বল লেগে যায়, সে চান্স পায়।
এই দুই প্রজাতির পার্থক্য হচ্ছে, প্রথমেরা খেলাটাকে শরীর আর মাথা মিশিয়ে খেলাটাকে ক্রিয়েটিভ এবং অসম্ভব সুন্দর করে তুলে যে কোন সময় অসম্ভব করে দিতে পারে!
আর দ্বিতীয়েরা মাইর খাইবার পরে ও সেই একই স্পটে বল ছুড়ে আরো একটু জোর প্রয়োগ করিলেই, অপনেন্ট ব্যাট্যারু আবারো আগের চেয়ে একটু উচু কিংবা গতিশীল বাউন্ডারী পায়!
আমি এইটা বলতে আসিনি।
সাকিব আর আনামুল হক বিজয় কি আলাদা?
সবাই বলবেন প্লীজ!
আমার মনে হয় ওরা দুজনই একটা অভিন্ন স্বত্বা যখন ওরা আমার বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমটাকে বহিঃবিশ্বের সামনে তুলে ধরে! - এইটা আমার মনে হয়..
ভিরাট কোহলী যখন পর পর ফ্লপ হয়, তখন ওদের স্পোর্টস চ্যানেল গুলো বার বার রিলে করে করে ভিরাটের অনবদ্য ইনিংস গুলো দেখাতে থাকে।
ইন্ডিয়ান ছেলে মেয়ে গুলো কোহলীর ছবি, প্লাকার্ডে ওর বিশ্বাসটাকে অবিচল রাখতে চায়।
আমাদের প্রথম বলে এসে সাটাইতে পারা জলন্ত আগুন সৌম্য সরকার দুদিন ফ্লপ হলেই টিভি চ্যানেলে ওকে কেনো বাদ দিয়ে তমুক কে নেওয়া হবেনা জিগেস করা হয়য়। অনলাইনে আমারই কোন অনুজ সৌম্যের হয়ে বলার জন্যে আমাকে আজীবন নেগলেট করে যায়....
আনামুল হক বিজয় যদি আজ ব্যাট করার সুযোগ পায়,
অনভ্যাসে ঘাবড়ে না গিয়ে যদি চুইংগাম চাবাইতে চাবাইতে সাবলীল ভাবে পাচ - দশটা রান করে ফেলতে পারে, তবেবে পাক্সতানী লীগের অপজিশন ফাইনালিস্ট টীমের জন্যে ওটা বেদনা হয়েয়ে রইবে।
আর আপনারা খেয়াল করবেন বাঙ্গালী যে কোন বোলারকেই মোঃ আশরাফুলের মততই দুষ্টুমী করে কিংবা জানান দিয়েই হাকায় দিয়ে ব্যাটাইতে পারে।
এত্ত কথা বলার কারন হচ্ছে, গতরাতে এক ভাই, একটু আগে আরেক ভাই বললো, ' বিজয়ের জন্যে পঞ্চাশ লক্ষ্য টাকা রিরাট এবং তার জন্যেই ও চলে গিয়েছে, সাকিব গেলে সবাই বকা দিতো! '
অামার কষ্ট হলো, আচ্ছা সাকিব আর বিজয় লাল সবুজ জার্সী পরলে আপনার কাছে অালাদা মনে হবে?

No comments

Powered by Blogger.